অনুগল্প, বরাবরই আমাদের মনে কিছু রেশ রেখে যায়; যেন সব বলেও, কিছু রয়ে গেল মনের মধ্যে। আর এমনি ভাবনা নিয়ে আমাদের পত্রিকার এবারের সম্পাদনা। আমাদের পত্রিকায় প্রকাশিত হল বিশিষ্ট লেখিকা বনশ্রী মিত্রের লেখা। তাঁর ভাবনায় সমুজ্জ্বল হোক নতুন চিন্তাধারা, নতুন ধরনের লেখার ইচ্ছা।
নবপত্রিকার পক্ষ থেকে বনশ্রী দেবীকে জানাই আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
#স্বপ্ন#
রুই মাছের ট্যালটেলে ঝোল আর রাঙালু সেদ্ধ দিয়ে ভাত খেয়ে অবণী মুখুজ্জে বাবার ছবিতে মাথা ঠুকে অফিস অভিমুখী হলেন। রোজকার মত বাগুইআটি মিনিবাস স্ট্যাণ্ড থেকে ডালহৌসিগামী বাসে জানলার ধারের সিট কব্জা করে বেশ জুত করে বসলেন।এখন ঘণ্টাখানেকের বেশি নিশ্চিন্ত।
কি দাদা,খবর কি?- অনিল পাশে এসে বসল।এই তো ভাই চলে যাচ্ছে,তুমি বল,অবণী কথা এগোয়।আর এই গরমে প্রাণ হাঁসফাস, চলুন দার্জিলিঙ এর প্ল্যানটা সেরে ফেলি,অনিল হাসে।
কাঞ্চনজঙ্ঘার বরফ শৃঙ্গের সামনে বসে চা, আহা!ম্যাল রোডের ওপরই একটা হোটেল নেব,দুদিন ওখানে কাটিয়ে ডুয়ার্স টা ঘুরে এলেও মন্দ হয় না!শুনেছি গরমে জন্তু জানোয়ার ভালই বেরোয়, হরিণের চোখ নাকি খুব মায়াবী!- অবণীর কণ্ঠে আবেগ।
হ্যাঁ, কপাল ভালো থাকলে বাইসন,গণ্ডারের সাক্ষাত্ও পেতে পারেন! দেশি মুরগীর ঝোল আর ভাত, জমে যাবে দাদা!
কথার পিঠে কথা চলতেই থাকে।বাবলুর অভ্যেস হয়ে গেছে রোজ সারা রাস্তা দুজনের এরকম বাইরে যাবার গল্প শোনার।আসুন দাদারা, জি.পি.ও এসে গেছে-বাবলু কন্ডাকটারের আওয়াজে দুজনে তাদের চলার সম্বল লাঠি দুটোয় ভর করে গেটের দিকে এগোয়।
ট্রাফিক পুলিশ রোজকার মত হাত ধরে দুই দৃষ্টিহীন মানুষকে রাস্তা পার করিয়ে দেয়।
বনশ্রী মিত্র, আবু ধাবি
পাঠক/পাঠিকাদের কাছে আমরা জানতে চাইব ব্যক্তিগত মতামত। লেখা কেমন লাগল, বা এই লেখা সম্পর্কে আপনাদের আন্তরিক মতামত জানাতে চিঠি পাঠান info.amarbanglavasa@gmail.com
ধন্যবাদান্তে,
সম্পাদক-নবপত্রিকা
No comments:
Post a Comment