বন্ধু! শব্দটাই এত ছোট যে তার পরিধি এর বিশালতা বোঝা বেশ মুশকিল। ছোটবেলার ইস্কুল থেকে কাজের আড্ডা, বাসের ডেলি প্যাসেঞ্জারি থেকে চায়ের দোকান। আমাদের জীবনে বন্ধুরা আসে যায়। এই তো সবাই কেমন যেন আছে আমাদের পাশে, মোবাইল ফোনের কন্ট্যাক্ট অথবা সোশ্যাল নেটওয়ার্কের ফ্রেন্ড লিস্টে। তবুও কখনও যেন খুব একা মনে হয়। হয়ত সবাই যেন কেমন ব্যস্ত। ফোন আসে না। অনেক অপেক্ষা করেও পাওয়া যায়না সাড়া। আমাদের নাগরিক জীবন হয়ত এভাবে দেওয়াল তুলে দিয়েছে সম্পর্কের অলি-গলিতে। হয়ত আমরাও দোষী তার জন্য। এ আক্ষেপ যেমন তোমার, ঠিক তেমনি সেই বন্ধুরও যে হয়ত তোমার অপেক্ষায় আছে। যে ব্যস্ততার অজুহাত আজ অন্য কেউ দিয়েছে, কাল হয়ত অজান্তে তুমিও দিচ্ছ অন্য কাউকে।
তাই না বলা কথাগুলো জমে যাচ্ছে মনের ভেতর। "সাজিয়ে নেওয়া শব্দগুলো" অপেক্ষা করে আছে সেই দুপুরের টেলিফোনের জন্য। বন্ধুর জন্য।
সাজিয়ে নেওয়া শব্দগুলো
অনেক বন্ধু আমাদের সকলেরই
ফোন নম্বর আছে সবার কাছেই
তবে, খুব ব্যস্ত আমরা সবাই
চট করে হয়ত করি না ফোন কেউ
সাঁতরে যাচ্ছি, সাঁতরে যাচ্ছি, কাজের সমুদ্রে এত ঢেউ।
মাঝে মাঝে ছুটির দুপুরে
বিছানায় গড়াগড়ি কাজ সেরে
খবরের কাগজ, পত্রিকা ওলটানো শেষ
কোথায় কতদুরে ঘুমের দেশ।
একঘেয়ে সেই বোকা বাক্সের অনুষ্ঠান
গান-গল্প-নাটকে, সংসারের রস পান।
মনে হয় বেজে উঠুক ফোন
যদি হতো কথা একটুখানি, গলার কাঁপুনিতে নাড়া দিতো মন।
শব্দের বেড়াজাল, আর আবেগের অনুরণন
কি হবে বলা, আর কি রইবে গভীর গোপন।
নাহ! ঘণ্টা বাজে না আর
দুপুর অপেক্ষা করে, সূর্য যাবে কখন নিশ্চিন্দিপুর।
সাজিয়ে নেওয়া শব্দগুলো, ডুব দেয় সন্ধ্যার চায়ের পেয়ালায়,
এত বন্ধুর মাঝেও যেন, শুধুই একা হবার সুর।
অমিত লস্কর, কলকাতা
নবপত্রিকা
অমিত বাবুকে আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই এই কবিতাটি পাঠানোর জন্য।
আপনিও কবিতা লেখেন? ছন্দ সহ বা ছাড়া। অথবা কোনো পুরনো ডায়েরি তে জমে থাকা কবিতা। পুরনো হোক বা নতুন, আপনার ভালোলাগা ভালোবাসা জড়িয়ে রয়েছে তার সাথে। তাহলে, লিখে পাঠান আপনার অপ্রকাশিত কবিতার গুচ্ছ; আমরা তা পৌঁছে দেব কবিতাপ্রেমী সাধারণের কাছে। নাম ও বিবরণ সহ যোগাযোগ করুন আমাদের E-দপ্তরে info.amarbanglavasa@gmail.com ।
আমরা রইলাম আপনার অপেক্ষায়।
No comments:
Post a Comment