লা জাবাব!
বেলা আটটা বেজে গেছে। আজও মনে হচ্ছে ইমনের দেরী হয়ে গেল। চটপট কিছু একটা টিফিনে তৈরি না করে দিলে, ছোটবাবুর আবার বড্ড রাগ হবে। কর্তাও বেশ ব্যস্ত হয়ে পায়চারি করছেন, "ওগো, রান্নাটা হল? আজ সকাল সকাল অফিস যাবার ছিল। মিটিংটা মনে হচ্ছে..."। সর্ষের ঝাঁজ হোক, অথবা মশলার নিপুণ পরত; পারমিতা কিন্তু রান্নাটা খুব মন দিয়ে করে। বলা ভাল, করতে ভালবাসে। তবে সেটা আজকে থেকে নয়। বিয়ের আগে, আর পাঁচটা বনেদি বাড়ির মেয়ের মত মায়ের কাছে শিখেছিল রান্নার হরেক রকম পদ। আর ছোট্ট ইমন ও স্বামী অভিজিতের আবদারে সেই হাত আজ পাকা রাঁধুনিকেও হার মানাবে। ইলিশের টক, মাছের ডিমের পুর দিয়ে রোল, অথবা মোগলাই পরোটার সাথে মেক্সিকান চিলি চিকেন, ফিউশন মিষ্টি থেকে মালাইয়ের পায়েস সবই শিখেছে বই পড়ে নাহলে প্রতিবেশী ঘোষাল গিন্নির থেকে। ও হ্যাঁ! শাশুড়ি মা-র কথা তো ভুলেই গেলাম। তিনিও কিছু কম যান না। খুন্তি হাতে আধুনিকা বউমা কে কখনও হেলায় দেন পাঁচ গোল- চিতল মাছের মুইঠ্যা, কাজলি মাছের কোপ্তা।
আচ্ছা, আপনিও কি রাঁধতে ভালবাসেন? মশলা নিয়ে খেলতে খেলতে তৈরি করতে ভালবাসেন নতুন পদ? একটু পরীক্ষা নিরীক্ষা থেকে আনতে পারেন জিভে জল আনা স্বাদ? তাহলে দেরী কেন? চটপট লিখে ফেলুন আপনার পছন্দ সই রেসিপি। আর পাঠিয়ে দিন আমাদের E-দপ্তরে info.amarbanglavasa@gmail.com আপনার নাম ও রন্ধন-প্রণালী সহ। আপনার লেখা প্রকাশিত হবে আমাদের পত্রিকায় আর জিভে জল আনবে আপামর বাঙালির।
আর যদি মনে করেন, লিখতে চান নিয়মিত, তাহলে সেটাও আমাদের জানান। আমরা বানিয়ে দেব আপনার নিজস্ব পেজ যেখানে আপনি সবাইকে জানাবেন রান্নার খুঁটিনাটি আর টিপস। অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদান্তে,
সম্পাদক-নবপত্রিকা
সম্পাদক-নবপত্রিকা
No comments:
Post a Comment